মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১১

আসছে ১০০ ডলারের অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট

আসছে ১০০ ডলারের অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট

যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন মিলে ১০০ ডলার মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার তৈরি করছে যাতে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সর্বাধুনিক সংস্করণ ৪.০ বা আইসক্রিম স্যান্ডউইচ ব্যবহার করা হচ্ছে। খবর সিনেট-এর।

৭ ইঞ্চি মাপের এ ট্যাবলেটটিই আইসক্রিম স্যান্ডইউচচালিত প্রথম ট্যাবলেট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের বাজারেও শিগগিরই চলে আসবে বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এমআইপিএস টেকনোলজিস এবং চীনা মোবাইল চিপ নির্মাতা ইনজেনিক সেমিকন্ডাক্টর এ ট্যাবলেট তৈরি করেছে।

৭ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটটি ছাড়াও ৮ এবং ৯ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটও শিগগিরই বাজারে ছাড়ার কথা জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানদুটি।

ট্যাবলেটগুলোকে বলা হচ্ছে ‘মিপস ট্যাব’।

ট্যাবলেটে ফিচার হিসেবে রয়েছে এমআইপিএসভিত্তিক ১ গিগাহার্টজ ক্ষমতার জেজি ৪৭৭০ প্রসেসর, ভিভানটি জিসি৮৬০ গ্রাফিক্স, ১০৮০ পিক্সেল ভিডিও ডিকোডিং সুবিধা, ট্যাবলেটের উভয় পাশে ক্যামেরা, ৭ ইঞ্চি মাপের মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ স্ক্রিন, ওয়াই-ফাই, ইউএসবি ২.০, এইচডিএমআই ১.৩ এবং মাইক্রোএসডি পোর্ট সুবিধা।

ফেসবুকনির্ভর সাইটগুলো

ফেসবুকনির্ভর সাইটগুলো

undefinedসোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ফেসবুকনির্ভর অনেক সাইট তৈরি করছেন ওয়েব ডেভেলপাররা। ওয়েব প্রোগ্রাম,অ্যাপ্লিকেশন,গেমস ছাড়াও ফেসবুকের আইডিয়ানির্ভর অনেক সাইটের দেখা মেলে ইন্টারনেটে। ফেসবুক ব্যবহারকে আরো সহজ এবং মজাদার করতেই এসব ওয়েবসাইটগুলো তৈরি হয়। যদিও এসব ওয়েবসাইটের কোনোটাই ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়  তবুও ফেসবুক পুঁজি করেই এগুলো তরতর করে এগিয়ে চলেছে। এমনকি কিছু সাইট আবার ফেসবুকের নামও নিজের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে।

Howdoifacebook.com
নতুন ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্যই এ সাইটটি। ফেসবুক বিষয়ে মনে যতো প্রশ্ন ওঠে তার তাবৎ উত্তর রয়েছে সাইটটিতে। ফেসবুক বিষয়ক সমস্যার সমাধান নিয়েই তৈরি করা হয়েছে

www.howdoifacebook.com সাইটটি। ফেসবুকের নিজস্ব সমস্যার সমাধান নিয়ে HELP সেকশন থাকলেও এ সাইটে সবকিছু খুব সহজভাবে ব্যাখা করা হয়েছে। ফেসবুকে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের অর্থ ও এর ব্যবহার, ফেসবুক বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর সাইটটিতে পাওয়া যাবে।

Reface.me
কেবল ফেসবুকনির্ভর একটি ব্লগ হলো www.reface.me। ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট, প্রোফাইল, ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ,ফটো-ভিডিও, গেমস, অ্যাপ্লিকেশন, ফেসবুকোলজি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সাজানো হয়েছে ব্লগটিকে। এতে রয়েছে ফেসবুক ব্যবহারের গাইডলাইন এবং ফেসবুক সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস সুবিধাও।

Facebookcraze.com
ফেসবুক নিয়ে আরেকটি সুন্দর ব্লগ হলো www.facebookcraze.com। ফেসবুকের মজার স্ট্যাটাস আপডেট, ফেসবুক বন্ধুদের ট্যাগ করার জন্য মজার মজার ফটো ইফেক্ট এবং বিভিন্ন ফেসবুক গেমসের রিভিউ নিয়ে সাজানো হয়েছে সাইটটিকে। প্রায় একই ধরনের আরেকটি ব্লগ www.facebookflow.com। এখানেও ফেসবুকের বিভিন্ন খবরা-খবর, বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন, গেমস ও পেজের রিভিউ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য মিলবে।

Allfacebook.com
ফেসবুককে নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী একটি ওয়েবসাইট www.allfacebook.com। ফেসবুকের সর্বশেষ খবরাখবর, ফেসবুক পেজগুলোর মধ্যে কোনগুলোর অবস্থান সবার ওপরে, সপ্তাহের সেরা ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ও গেমসের তালিকা ইত্যাদি নিয়ে  সাজানো হয়েছে ওয়েবসাইটটি।

Facemoods.com
স্মাইলি, ইমোটিকনস, অ্যানিমেশন যারা ফেসবুক স্ট্যাটাস, চ্যাট বা ওয়ালে এসব যুক্ত করতে চান তাদের জন্য www.facemoods.com  । সাইটটি থেকে স্মাইলি কিংবা ইমোটিকনস ব্যবহারের ছোট্ট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে পিসি বা ল্যাপটপে ইনস্টল করলেই কাজ হবে।

Facebookvideodown.com
ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করার কাজ করে www.facebookvideodown.com   সাইটটি। পিসিতে কোনো সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ছাড়াই সহজেই ডাউনলোডের কাজটি করা যায় সাইটটি থেকে।

Privacydefender.net
ফেসবুকে প্রাইভেসি সেটিং সমাধান দিতেই আছে www.privacydefender.net   সাইটটি। এ সাইটের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সহজেই ফেসবুকের প্রাইভেসি সেট করা যায়।

Insidefacebook.com
ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, প্রোগ্রামার এবং মার্কেটারসদের জন্য ওয়েবসাইটটির নাম Insidefacebook.com

দ্বিতীয় পৃথিবীর খোঁজ

ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী

দ্বিতীয় পৃথিবীর খোঁজ

ডিসেম্বর ১৩, ২০১১
farseem-f11121111121111ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন আটলান্টিক মহাসাগর ডিঙ্গিয়ে নতুন অভিযানের কল্পনা করছিলেন, তখন কেমন ছিল তার মনোভাব? কিংবা ১৪৯২ সালের ১২ই অক্টোবর ভোর দুটোয় যখন ‘পিন্টা’ জাহাজের মাস্তুল থেকে চিৎকার ভেসে এল দূর ডাঙ্গার খবর, আর ‘পিন্টা’র কাপ্তান সেটা যখন কামান দেগে কলম্বাসকে জানালেন, তখন কলম্বাস কী ভাবছিলেন? তিনি কি ঘূণাক্ষরেও ভাবতে পেরেছিলেন, অই নতুন জমির খোঁজ তার চেনা-জানা ইউরোপকে কীভাবে বদলে দেবে? কলম্বাস যখন নতুন দেশ জয়ের আকাঙ্খা দেখছিলেন তখন তিনি কি এর ঐতিহাসিক ফলাফলের কথা বিবেচনা করতে পেরেছিলেন? নতুন মহাদেশের আবিষ্কার ইউরোপে নতুন পুঁজির সৃষ্টি করে, নতুন প্রণোদনা জোগায়, এমনকি শিল্পবিপ্লবের বীজ বপন করে। ঢালাও শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বৃহৎ পুঁজি যোগান দিয়েছিল অই নতুন মহাদেশটির ধন-রত্ন। ঠিক একই রকম রোমাঞ্চ গ্যালিলেও অনুভব করেছিলেন যখন তিনি টেলিস্কোপে চোখ রেখে দূর গ্রহসমূহ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তিনি দেখেছিলেন বৃহস্পতির সুন্দর চারটি মুক্তোর দানার মতো জ্বলজ্বলে উপগ্রহগুলি। তিনি তখন কেমন অনুভব করেছিলেন? কিংবা ধরা যাক, কেপলার নভোবীক্ষণ যন্ত্রের জটিল আলোকরেখার দিকে তাকিয়ে পৃথিবীর মতো গ্রহের উপস্থিতির চিহ্ন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের মনেই-বা কী প্রতিক্রিয়া জাগিয়েছে? অথবা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মনের অবস্থাই-বা কী? সুদূরতমার এই গহন ডাক মানুষকে কীসের হাতছানি দেয়?
এই বিরাট বিপুল মহাবিশ্বে কি আর কোথাও আমাদের আরেকটি দ্বিতীয় বাসস্থান নেই – যেখানে থাকবে পানি তার তিন দশাতেই (কঠিন-তরল-বায়বীয়), থাকবে সহনীয় তাপমাত্রা (না খুব বেশী, না খুব কম), থাকবে বায়ুমণ্ডল, থাকবে টেকটনিক সক্রিয়তা ইত্যাদি? যা কিছু আমরা এই অতিপ্রিয় পৃথিবীতে দেখি, ঠিকঠিক সেইরকম একটা দ্বিতীয় পৃথিবীর খোঁজ মানুষের বহুদিনের। এ যেন সেই এলডোরাদোর মতো অলৌকিক নগরীর খোঁজ যেখানে আছে কেবল সম্পদ আর সম্পদ! এমন এক নতুন পৃথিবীর সন্ধান যেন আমাদের সবকিছু নতুন করে শুরু করার এক পরাবাস্তব স্বপ্নের হাতছানির মত! দ্বিতীয় ইউটোপিয়া রচনার সাধ যেন-বা!
অতি সম্প্রতি মনে হয় ঠিক এরকম একটা পৃথিবীর খোঁজ বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। নতুন এই গ্রহটির নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন কেপলার-২২বি। এটি আমাদের পৃথিবীর চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ ভারী, এবং এটি এর নক্ষত্র থেকে এমন দূরত্বে থাকে যাতে এখানে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে। এ ধরনের অঞ্চলকে বলে হ্যাবিটেবল জোন বা বাসযোগ্য অঞ্চল, অর্থাৎ এটি এমন এক অঞ্চল যেখানে প্রাণের উপযোগী সকল ভৌত শর্তাবলি উপস্থিত থাকে। সূর্যের জন্য এই অঞ্চলের মান ০.৬৩ থেকে ১.১৫ জ্যোতির্বিদ্যার একক দূরত্বে অবস্থিত, যেখানে এক জ্যোতির্বিদ্যার একক হল সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্বের সমান। এই মানটি অবশ্য নক্ষত্রভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়, এর মূলসূত্রটি হল এরকম যে এটা সেই দূরত্ব নির্দেশ করে যে দূরত্বে অবস্থান করলে গ্রহের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা শূন্য থেকে একশত ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে থাকে। কেপলার-২২বি গ্রহটি পৃথিবীর ২.৪ গুণ বড়, এটি যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তার আয়তন আমাদের সূর্যের তুলনায় সামান্য ছোট। তাই কেপলার-২২বি’র কক্ষপথও পৃথিবীর তুলনায় সামান্য ছোট এবং তার সূর্যকে একবার ঘুরে আসতে কেপলার-২২বি’র সময় লাগে ২৮৯ দিন। এই তারাটির বর্ণালি সূর্যের মতোই জি-টাইপ হলেও এর তাপমাত্রা কিছুটা কম এবং এর দূরত্ব ৬০০ আলোকবর্ষ। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এখনো বলতে পারছেন না যে গ্রহটির অভ্যন্তরভাগ পাথুরে না গ্যাসীয়। দ্বিতীয় পৃথিবীর এই সন্ধান মানুষকে সত্যিই এক আলাদা দিগন্ত দেয়, মনে হয় যেন আরেক পৃথিবীতে আমরা স্বপ্নের এক আশ্চর্য জগৎ তৈরি করে নেব। যদিও স্বপ্ন আর বাস্তবতার ফারাক বিশাল – বর্তমান প্রযুক্তি দিয়ে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরত্ব একজন মানুষের কেন তার ছয় প্রজন্মের জীবদ্দশায়ও পাড়ি দেওয়া সম্ভব নয়! কিন্তু তারপরও মানুষের দিগন্ত কিন্তু প্রসারিত হয়ে যায় শুধু এই তথ্যে। নাই বা পারলাম যেতে। কিন্তু আছে তো!
ন্যাসা কর্তৃক ৭ মার্চ ২০০৯ সালে কেপলার মিশন উৎক্ষিপ্ত হয়, মিশনের আয়ুষ্কাল ৩.৫ বছর, এবং এর প্রধান লক্ষ্য পৃথিবীর মত দেখতে গ্রহদের খুঁজে বের করা যারা তাদের নিজেদের নক্ষত্রের চারিদিকে অবস্থিত বাসযোগ্য অঞ্চলের মধ্যে থাকে। এই কাজে দূরবর্তী নক্ষত্রের আলোর অতিসূক্ষ্ম পরিবর্তন পরিমাপ করে গ্রহের আকৃতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়। গ্রহ যখন তার নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যাবে তখন নক্ষত্রের আলোর সামান্য পরিবর্তন ঘটবে, কিংবা গ্রহের মহাকর্ষীয় টানাপোড়নের ফলে নক্ষত্রের গতি অতি সামান্য টাল খায় – এইসব সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরিমাপ থেকে দূরান্তের গ্রহের প্রকৃতি নির্ণয় করা হয়। কেপলার মিশনে একটি হাইপার-সেন্সিটিভ ফটোমিটার রাখা আছে যার উদ্দেশ্য নক্ষত্রের আলোর সামান্য তারতম্য পরিমাপ করা। এ পর্যন্ত (ডিসেম্বর ২০১১) কেপলার মিশন কয়েক হাজার গ্রহ-প্রার্থী খুঁজে পেয়েছে যাদের মধ্যে প্রায় ২০০টির মতো গ্রহ পৃথিবীর মতোন, তাদের মধ্যে ৪৮টি আছে বাসযোগ্য অঞ্চলের ভেতরে। এখন এই মিশনের কাজ হলো ঐসব গ্রহকে আরো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আরো পৃথিবীর ‘হৃদয়ের বোন’দের খুঁজে ফেরা।
মহাবিশ্বে ধীমান সত্তার খোঁজ নতুন কিছু নয়। ১৯৬০-এর দশক থেকে রেডিও জ্যোতির্বিদরা চরাচর চষে ফিরছেন এলিয়েনদের খোঁজে। কোথায় তারা? এই বিষয়ে ফ্র্যাঙ্ক ড্রেকের একটি বিখ্যাত সমীকরণ আছে যা কোনো একটি গ্যালাক্সিতে বুদ্ধিমান সত্তার সম্ভাব্য সংখ্যার একটা গাণিতিক হিসাব দেয়। এই বিষয়ে আমি আগের একটি লেখায় বিশদ বলেছি। ড্রেকের সমীকরণ ব্যবহার করে আমাদের গ্যালাক্সিতে সম্ভাব্য সভ্যতার সংখ্যা ড্রেক নিজে পেয়েছিলেন ১০,০০০। অবশ্য অনেকেই এই সংখ্যাকে আরো অনেক কম মনে করেন। কিন্তু তারপরও এই সংখ্যাটিকে একটি শুরুর বিন্দু বা প্রাথমিক হিসাব হিসেবে কল্পনা করা যেতে পারে। কিন্তু তারপরও মনে হতে পারে, ৬০০ আলোকবর্ষ যেতেই তো আমাদের কয়েকডজন প্রজন্ম পার হয়ে যাবে, তো এই দূরাগত প্রায়-অসম্ভব ইউটোপিয়ার কথা ভেবে লাভ কী? কাছের মঙ্গলেই তো আমরা এখনো মানুষ পাঠাতে পারিনি। এর কোনো জবাব নেই, কিন্তু ভাবুন যে কলম্বাস যখন আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেছিলেন তখন তার স্বপ্ন-কল্পনা কতই না সামান্য ছিল, কিন্তু সেই আবিষ্কারের ফলাফল ইউরোপ কতদিন ধরে ভোগ করেছে এবং করে আসছে!
কেন আমরা দ্বিতীয় পৃথিবীর খোঁজ করব, যখন আমাদের পৃথিবীতেই দারিদ্র্যকে এখনো মিউজিয়ামে রাখা যায়নি? বিজ্ঞানী হয়ত বলবেন যে, পৃথিবীতেই আমাদের এই বুদ্ধিমান সভ্যতাটিকে বেঁধে রাখার কোনো কারণ নেই। আন্তঃনাক্ষত্রিক স্পেসে এই সভ্যতাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে, আমাদের সূর্য যখন তার অন্তিম দশায় ফুলে-ফেঁপে উঠবে তখন এই পৃথিবীকে ছাড়তেই হবে। তখন যাব কোথায়? এখনই যদি না খুঁজি, তবে তখন কী হবে? দূরত্ব পেরনোর প্রযুক্তিই বা পাব কী করে, যদি এখনই গবেষণা না শুরু করি? মানছি, সূর্যের ঐ পর্যায়ে যেতে সময় লাগবে ৫০০ কোটি বছর, কিন্তু স্বপ্ন যদি এখনই না দেখি, তবে? আমাদের জনসংখ্যা যদি এভাবেই বাড়তে থাকে, তাহলে গ্রহান্তরে পাড়ি দেবার প্রয়োজনীয়তা আর সূর্যের অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত বসে থাকার দরকার হবে না। আমি বাজি ধরতে রাজি আছি, বর্তমান প্রাযুক্তিক উৎকর্ষ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী দুশো বছরের মধ্যেই আমরা ইন্টারস্টেলার ভ্রমণ করতে সক্ষম হব। একইরকম মনোভাব প্রফেসর স্টিফেন হকিংও ব্যাক্ত করেছেন তাঁর সাম্প্রতিক ডিভিডি সিরিজে (ইনটু দ্য ইউনিভার্স)। লম্বা জার্নির প্রধান অন্তরায় হল আমাদের মানুষী আয়ু, কবির কাছে যেমন মনে হয়েছিল ‘পদ্মপত্রে নীর’। কিন্তু ইদানিংকালের গবেষণায় আয়ুকে প্রলম্বিত করার বেশ আশাবাদী কিছু বৈজ্ঞানিক ফলাফল আমরা জানতে পেরেছি। এরকমটা যদি সত্যি হয়, তাহলে আর ভয় কি, আসুন আমাদের বসন্তকালীন নিবাস হিসেবে আমরা কেপলার-২২বি’কে বেছে নেই। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরাও ভেবে দেখতে পারেন! বাক্স-পেটরা গুছিয়ে রাখাই ভালো, কখন ডাক পড়ে!
ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী : বিজ্ঞান গবেষক ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
তথ্যসূত্রঃ
১/ তরুন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী খান মুহম্মদের অদ্ভুত সুন্দর ভিডিও ব্লগ: http://www.youtube.com/watch?v=znTfTbkySBY।
২/ ‘দ্বিতীয় পৃথিবীর সন্ধানে’, ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, ফেসবুক নোট, ৬ই ডিসেম্বর ২০১১।
৩/ ‘সবার জন্য জ্যোতির্বিদ্যা’, সৈয়দা লাম্‌মীম আহাদ ও ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, প্রকাশিতব্য।

বাজারে এলো 'নকিয়া ৫০০'

বাজারে এলো 'নকিয়া ৫০০'

বাজারে এসেছে ‘নকিয়া ৫০০’ মডেলের স্মার্টফোন। টাচস্ক্রিন সুবিধার এ স্মার্টফোনে রয়েছে ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, মাল্টিমিডিয়া, ম্যাপ ও নেভিগেশন সুবিধা। এ স্মার্টফোনে রয়েছে সিমবিয়ান অ্যানা অপারেটিং সিস্টেম।

পোর্ট্রেইট কোয়ার্টি কী বোর্ড এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধাযুক্ত এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি। ৩.২ ইঞ্চি স্ক্রিনযুক্ত এ স্মার্টফোনটিতে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়তি মেমোরি সমর্থন করে।

স্মার্টফোনটির দাম পড়বে ১৮ হাজার টাকা।